হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু): ইসলামী ইতিহাসের মহত্তম শাসক

 

✨ ভূমিকা

ইসলামের ইতিহাসে যেসব ব্যক্তিত্ব চিরস্মরণীয়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হলেন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)
তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ঘনিষ্ঠ সাহাবি, ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং এমন এক ন্যায়পরায়ণ শাসক, যার শাসনব্যবস্থা আজও পৃথিবীর ইতিহাসে সুবিচারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—

“যদি আমার পরে কোনো নবী হতো, তবে উমর হতেন সেই ব্যক্তি।”
(তিরমিজি: ৩৬৮৬)

হযরত উমর (রা.)-এর জীবন কাহিনী আল্লাহভীতি, নেতৃত্ব, ত্যাগ, দায়িত্ববোধ, ন্যায়বিচার ও মানবতার এক অমূল্য শিক্ষা।
চলুন তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় বিস্তারিতভাবে দেখি।


১️⃣ জন্ম, বংশ ও পারিবারিক পরিচয়

হযরত উমর (রা.)-এর পূর্ণ নাম উমর ইবনুল খাত্তাব ইবনু নুফাইল ইবনু আব্দুল উজ্জা আল-আদাওয়ী আল-কুরাইশী
তিনি কুরাইশ বংশের বনু আদি গোত্রের সদস্য ছিলেন — মক্কার অভিজাত ও প্রভাবশালী পরিবারগুলোর একটি।

📍 জন্মস্থান ও সময়

তিনি জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্টাব্দ ৫৮৪ সালে (প্রায় ১৩ বছর নবীজী ﷺ -এর পরে) মক্কায়।
এ সময় কুরাইশ সমাজ মূর্তিপূজা, অন্ধকারাচ্ছন্নতা ও গোত্রীয় অহংকারে আচ্ছন্ন ছিল।

👨‍👩‍👧 পরিবার

তাঁর পিতা খাত্তাব ইবনু নুফাইল ছিলেন কুরাইশদের মধ্যে সম্মানিত কিন্তু কঠোর স্বভাবের মানুষ।
মাতা হনতামা বিনতে হিশাম ছিলেন বেনি মাখজুম গোত্রের নারী, যিনি ছিলেন বিখ্যাত যুদ্ধবীর আবু জাহলের আত্মীয়া।

📚 শিক্ষা ও চরিত্র

উমর (রা.) ছিলেন তাঁর যুগের অন্যতম শিক্ষিত ব্যক্তি।
সে সময় মক্কার খুব কম মানুষ পড়তে-লিখতে জানত, কিন্তু উমর (রা.) ছিলেন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, স্পষ্টভাষী ও বুদ্ধিমান।
তিনি কবিতা ও ইতিহাসে আগ্রহী ছিলেন এবং ঘোড়সওয়ারি, কুস্তি ও যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন।


২️⃣ ইসলাম-পূর্ব জীবন: শক্তি ও কঠোরতার প্রতীক

ইসলাম গ্রহণের আগে উমর (রা.) ছিলেন কঠোর, আত্মবিশ্বাসী ও তেজস্বী এক ব্যক্তি।
তিনি ছিলেন কুরাইশদের প্রতিনিধি হিসেবে যুদ্ধ ও কূটনৈতিক আলোচনায় সক্রিয়।
তাঁর দৃঢ়তা ও নেতৃত্বগুণের কারণে সমাজে তাঁর অবস্থান ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী।

তবে তখন তিনি ইসলাম ও নবীজীর দাওয়াতের তীব্র বিরোধী ছিলেন।
মুসলমানদের কষ্ট দেওয়া, তাঁদের ইসলাম থেকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করতেন।
নিজেই পরে বলেন—

“আমি ইসলাম গ্রহণের আগে নবীজী ﷺ -এর শত্রু ছিলাম, কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর জন্য আত্মত্যাগ করতে দ্বিধা করিনি।”


৩️⃣ ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি

🔥 ইসলামবিরোধিতা থেকে সত্যের পথে

একদিন উমর (রা.) নবীজীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পথে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় নাঈম ইবনু আবদুল্লাহ নামে এক মুসলমানের।
নাঈম তাঁকে বলেন—

“তুমি আগে নিজের পরিবারের দিকে তাকাও, তোমার বোন ফাতিমা ও তাঁর স্বামী সাঈদ ইবনু যায়েদ ইসলাম গ্রহণ করেছেন।”

এ খবর শুনে উমর ক্রুদ্ধ হয়ে বোনের বাড়িতে যান।
তখন তাঁরা কুরআনের আয়াত পাঠ করছিলেন — সূরা ত্বাহা
উমর তাঁদের মারধর করেন। বোন রক্তাক্ত হলে তাঁর হৃদয় নরম হয়।
তিনি বলেন—

“এই কী শব্দ পড়ছিলে, আমাকে দাও, আমি পড়ব।”

ফাতিমা (রা.) বলেন,

“তুমি পবিত্র হও, তারপর পড়ো।”

অজু করে তিনি কুরআন পড়েন —

“আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। সুতরাং তুমি আমার ইবাদত করো এবং আমার স্মরণের জন্য সালাত কায়েম করো।”
(সূরা ত্বাহা: ১৪)

এই আয়াত তাঁর হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়। তিনি বলেন—

“আমাকে মুহাম্মদের কাছে নিয়ে চলো।”

দারুল আরকামে গিয়ে নবীজী ﷺ এর সামনে হাজির হন। নবীজী ﷺ জিজ্ঞেস করেন,

“হে উমর, কী কারণে এসেছো?”

তিনি বলেন—

“আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি।”

নবীজী ﷺ তাকবির দেন, সাহাবারা আনন্দে চিৎকার করেন—

“আল্লাহু আকবার!”

এভাবে উমর (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণ ছিল ইসলামী ইতিহাসের এক বিশাল মোড় পরিবর্তনের ঘটনা।


৪️⃣ ইসলাম গ্রহণের পর: প্রকাশ্য ইসলামের সূচনা

ইসলাম গ্রহণের আগে মুসলমানরা গোপনে নামাজ আদায় করত।
কিন্তু উমর (রা.) প্রকাশ্যে ইসলাম ঘোষণা করেন।
তিনি নবীজীকে বলেন,

“আমরা কি সত্যের ওপর নই?”
নবীজী বলেন, “হ্যাঁ।”
তিনি বলেন, “তাহলে কেন গোপনে?”

এরপর তিনি মুসলমানদের নিয়ে প্রকাশ্যে কাবায় নামাজ আদায় করেন।
সেদিন থেকে ইসলাম আর লুকানো ধর্ম ছিল না — বরং প্রকাশ্য আন্দোলন।


৫️⃣ হিজরতের ঘটনায় উমর (রা.)-এর সাহস

যখন মুসলমানদের মদিনায় হিজরত করার অনুমতি দেওয়া হয়, সবাই গোপনে চলে যায়।
কিন্তু উমর (রা.) প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন—

“যে তার সন্তানকে পিতৃহারা ও স্ত্রীকে বিধবা করতে চায়, সে যেন আমার পথ আটকায়।”

কেউ সাহস করেনি।
এভাবেই উমর (রা.) ইসলামী সাহসের প্রতীক হয়ে ওঠেন।


৬️⃣ রাসূলুল্লাহ ﷺ- এর ঘনিষ্ঠ সাহাবি হিসেবে ভূমিকা

উমর (রা.) ছিলেন নবীজীর অন্যতম পরামর্শদাতা।
বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর মতামত কুরআনের আয়াত হিসেবে নাযিল হয়।
যেমন—

  • পর্দা বিষয়ক বিধান

  • বদর যুদ্ধের বন্দিদের শাস্তি

  • মুনাফিকদের জানাজা না পড়া

তাঁর মতের সমর্থনে বহুবার ওহি নাজিল হয়েছে।

🌿 যুদ্ধসমূহে ভূমিকা

বদর, উহুদ, খন্দক, তাবুক—সব যুদ্ধেই তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
নবীজীর প্রতি তাঁর আনুগত্য ও ভালোবাসা ছিল অনন্য।


৭️⃣ নবীজীর ইন্তেকাল ও প্রথম খলিফার সহযোগী হিসেবে ভূমিকা

রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তেকালের পর মুসলমানরা শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।
উমর (রা.) বলেন—

“যে বলবে মুহাম্মদ মারা গেছেন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেব।”

তখন আবু বকর (রা.) এসে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করেন—

“মুহাম্মদ তো একজন রাসূল মাত্র; তাঁর আগে অনেক রাসূল চলে গেছেন...”
(সূরা আলে ইমরান: ১৪৪)

উমর (রা.) তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই দৃশ্য ইতিহাসে এক আবেগময় অধ্যায় হয়ে আছে।


৮️⃣ দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ

আবু বকর (রা.) মৃত্যুর আগে উমর (রা.)-কে উত্তরসূরি মনোনীত করেন।
তিনি বলেন—

“উমর কঠোর, কিন্তু তাঁর হৃদয় নরম; তিনি আল্লাহভীরু। তাঁর শাসনে ইসলাম নিরাপদ থাকবে।”

৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নেন।


৯️⃣ উমর (রা.)-এর খিলাফত: ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বর্ণযুগ

তাঁর শাসনকাল (৬৩৪–৬৪৪ খ্রি.) ছিল প্রশাসনিক দক্ষতা, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সংস্কারের দৃষ্টান্ত।

🏛 প্রশাসনিক কাঠামো

  • ইসলামি রাষ্ট্রকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করেন।

  • প্রতিটি প্রদেশে গভর্নর, বিচারক, কর কর্মকর্তা ও সেনাপতি নিয়োগ দেন।

  • কর্মকর্তাদের সম্পদ নিরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন।

  • বায়তুলমাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) প্রতিষ্ঠা করেন।

📜 আইনি ব্যবস্থা

তিনি প্রথমবার হিসাব দপ্তর (দেওয়ান) চালু করেন।
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হিসাব, সৈনিকদের বেতন ও জনকল্যাণের ব্যয় এখানেই রেকর্ড হতো।

🕊 জনসেবা

  • এতিম, বিধবা ও দরিদ্রদের জন্য মাসিক ভাতা

  • রাস্তাঘাট, কূপ, হাসপাতাল নির্মাণ

  • পশুপালন ও খাদ্য সংরক্ষণ কর্মসূচি

তিনি বলতেন—

“যদি ইরাকের কোনো গরীব মানুষ ক্ষুধায় মারা যায়, আমি ভয় করি আল্লাহ কিয়ামতের দিন আমাকে জবাবদিহি করতে বলবেন।”


🔟 ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ

উমর (রা.)-এর সময় ইসলামী সাম্রাজ্য অভূতপূর্বভাবে বিস্তৃত হয়।

🌍 বিজিত অঞ্চলসমূহ

  • পূর্বে: পারস্য, ইরাক

  • পশ্চিমে: সিরিয়া, মিশর, জেরুজালেম

  • উত্তরে: আজকের তুরস্কের অংশ

🕌 জেরুজালেম বিজয়

খ্রিষ্টান নেতারা বলেছিলেন, তাঁরা কেবল উমরের হাতে আত্মসমর্পণ করবেন।
তিনি উটে চড়ে সাধারণ পোশাকে মদিনা থেকে জেরুজালেমে যান।
নিজ হাতে চাবি গ্রহণ করেন এবং বলেন—

“আমরা মানুষকে দাসত্বে রাখার জন্য আসিনি, বরং আল্লাহর দাসত্বে ফিরিয়ে আনতে।”

এ দৃশ্য মানব ইতিহাসে বিনয় ও ন্যায়ের এক চিরন্তন প্রতীক।


১১️⃣ ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক দৃঢ়তা

তাঁর শাসন ব্যবস্থার মূলমন্ত্র ছিল — “ন্যায়ই রাষ্ট্রের ভিত্তি”

একজন কপট (খ্রিষ্টান) লোক মিশরের গভর্নর আমর ইবনু আছের ছেলের হাতে প্রহৃত হলে উমর (রা.) বলেন—

“হে আমর! মানুষকে কবে থেকে দাস বানালে, অথচ তাঁদের মায়েরা তো স্বাধীনভাবে জন্ম দিয়েছিলেন?”

এই উক্তি আজও ন্যায়বিচারের শীর্ষ ঘোষণা হিসেবে স্মরণীয়।


১২️⃣ ব্যক্তিত্ব, চরিত্র ও আল্লাহভীতি

💧 নম্রতা

তিনি রাতে ছদ্মবেশে রাস্তায় বের হয়ে গরীবদের অবস্থা দেখতেন।
একবার এক মা সন্তানকে ঘুম পাড়াতে পাথর সেদ্ধ করছিলেন। উমর (রা.) নিজে কাঁধে খাবার নিয়ে গিয়ে সেই পরিবারকে খাওয়ান।

😭 আল্লাহভীতি

তিনি বলতেন—

“যদি টাইগ্রিস নদীর তীরে একটি ছাগলও ক্ষুধায় মরে, আমি ভয় করি আল্লাহ আমাকে প্রশ্ন করবেন কেন ব্যবস্থা নিইনি।”

🌙 ইবাদত

তিনি রাতের অধিকাংশ সময় নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত ও চিন্তায় কাটাতেন।


১৩️⃣ উমর (রা.)-এর বিখ্যাত উক্তি ও শাসননীতি

  • “যে নিজেকে হিসাব দেয় না, আল্লাহ তার হিসাব নেবেন।”

  • “দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, কারণ সে তোমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”

  • “ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো জাতি টিকতে পারে না, এমনকি কাফের জাতিও নয়।”

  • “যে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্য অন্য কারো ভয় নেই।”


১৪️⃣ শাহাদাত ও মৃত্যু

২৩ হিজরি (খ্রিষ্টাব্দ ৬৪৪) সালে ফজরের নামাজে ইমামতি করার সময় আবু লুলু ফিরুজ নামের এক পারস্য দাস তাঁর ওপর ছুরি চালায়।
তিনি গুরুতর আহত হন।
তিন দিন পর শাহাদাত বরণ করেন।

মৃত্যুর আগে তিনি বলেন—

“আমার জানাজা যেন রাসূলুল্লাহ ﷺ ও আবু বকর (রা.)-এর পাশে দাফনের অনুমতি নিয়ে হয়।”

হযরত আয়িশা (রা.) অনুমতি দেন।
তিনি নবীজী ﷺ ও আবু বকর (রা.)-এর পাশে সমাধিস্থ হন।


১৫️⃣ শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ

১️⃣ নেতৃত্ব মানে ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা।
২️⃣ ন্যায়বিচার রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি।
৩️⃣ আল্লাহভীতি ছাড়া সমাজে শান্তি আসে না।
৪️⃣ দরিদ্র ও নিপীড়িতদের অধিকার রক্ষা করা প্রতিটি নেতার কর্তব্য।
৫️⃣ আত্মসমালোচনা নেতৃত্বের শক্তি বৃদ্ধি করে।
৬️⃣ ইসলামী প্রশাসন মানে মানবকল্যাণের ব্যবস্থা।
৭️⃣ সাহস ও নম্রতা একসাথে থাকলেই প্রকৃত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।


🌺 উপসংহার

হযরত উমর (রা.) ছিলেন এমন এক নেতা, যিনি শক্তিতে ছিলেন পর্বতের মতো দৃঢ়, কিন্তু হৃদয়ে ছিলেন শিশুর মতো কোমল।
তিনি শাসন করেছেন ন্যায়, আল্লাহভীতি ও মানবতার আলোকে।

ইতিহাস তাঁকে স্মরণ করে—
“ন্যায়ের প্রতীক, নেতৃত্বের আদর্শ ও খোদাভীরুতার প্রতিমূর্তি” হিসেবে।

আজকের মুসলমানরা যদি তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নেয়, তবে পৃথিবীতে আবারও আলোর সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url