হযরত উসমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)
🌿 হযরত উসমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু): ইসলামের তৃতীয় খলিফা ও লজ্জাশীলতার প্রতিমূর্তি
✨ ভূমিকা
ইসলামের ইতিহাসে যেসব মহামানব আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন হযরত উসমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)।
তিনি ছিলেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা, মহান সাহাবি, নবীজী ﷺ এর দুই কন্যার স্বামী, মহান দাতা ও সর্বোচ্চ লজ্জাশীলতার প্রতীক।
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর সম্পর্কে বলেছেন—
“প্রতিটি নবীর একজন সহচর থাকে, আর আমার সহচর উসমান।”
(তিরমিজি)
আবার একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“ফেরেশতারা উসমানের লজ্জাশীলতাকে লজ্জা পায়।”
(সহিহ মুসলিম)
এই কথাগুলোই প্রমাণ করে, হযরত উসমান (রা.) ইসলামের ইতিহাসে কেমন এক অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
চলুন, তাঁর মহান জীবনের বিস্তারিত ইতিহাস, কর্ম ও শিক্ষণীয় দিকগুলো গভীরভাবে দেখি।
১️⃣ নাম, বংশ ও পারিবারিক পরিচয়
📖 পূর্ণ নাম
উসমান ইবনু আফফান ইবনু আবিল আাস ইবনু উমাইয়া ইবনু আব্দুশ শামস আল-আমউই আল-কুরাইশি।
তিনি কুরাইশ বংশের বনু উমাইয়া গোত্রের ছিলেন, যা মক্কার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য গোত্রগুলোর একটি।
📍 জন্মস্থান ও সময়
তিনি জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্টাব্দ ৫৭৬ সালে, মক্কায়।
নবীজী ﷺ -এর প্রায় ছয় বছর ছোট ছিলেন।
👨👩👧 পরিবার
তাঁর পিতা আফফান ইবনু আবিল আাস, কুরাইশ বংশের ধনাঢ্য ও সম্মানিত ব্যক্তি।
মাতা আরওয়া বিনতে কুরাইয, যিনি নবীজী ﷺ এর দাদা আবদুল মুত্তালিবের বংশধর ছিলেন।
অতএব, বংশানুক্রমে উসমান (রা.) ছিলেন নবীজীর আত্মীয়।
২️⃣ ইসলাম-পূর্ব জীবন
💎 চরিত্র ও মর্যাদা
ইসলাম গ্রহণের আগেও উসমান (রা.) ছিলেন এক সত্, লজ্জাশীল ও বুদ্ধিমান তরুণ।
তিনি ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছিলেন, কিন্তু কখনো অহংকার বা অন্যায়ে লিপ্ত হননি।
মক্কার মানুষ তাঁকে বলত “আল-গনি আল-হাইয়ী” — অর্থাৎ “ধনী অথচ লজ্জাশীল”।
📚 শিক্ষাগত যোগ্যতা
তিনি ছিলেন লেখাপড়ায় পারদর্শী, কুরাইশদের মধ্যে অল্প কয়েকজন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির একজন।
তিনি কুরআনের আয়াত ও কবিতা সুন্দরভাবে লিখতে পারতেন।
৩️⃣ ইসলাম গ্রহণের ঘটনা
হযরত উসমান (রা.) ছিলেন ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম দিকের সাহাবিদের একজন।
তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন আবু বকর (রা.)-এর দাওয়াতে।
আবু বকর (রা.) তাঁকে নবীজীর কাছে নিয়ে যান, এবং নবীজী ﷺ তাঁকে ইসলামের দাওয়াত দেন।
উসমান (রা.) বলেন—
“আল্লাহর কসম! আমি এক মুহূর্তও দ্বিধা করিনি। আমি সাক্ষ্য দিই, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর রাসূল।”
তিনি তখনই ইসলাম গ্রহণ করেন, এবং নবীজীর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যের শপথ নেন।
💔 পরিবারের প্রতিক্রিয়া
ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর চাচা হাকাম তাঁকে কঠোরভাবে নির্যাতন করেন।
তবে উসমান (রা.) ধৈর্য ধারণ করেন এবং ঈমান থেকে এক ইঞ্চিও বিচ্যুত হননি।
৪️⃣ নবীজীর কন্যার সাথে বিবাহ: “যুল নুরাইন” উপাধি
উসমান (রা.)-এর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্য ছিল — তিনি নবীজী ﷺ -এর দুই কন্যার স্বামী।
প্রথমে নবীজীর কন্যা রুকাইয়া (রা.)-কে বিবাহ করেন।
রুকাইয়া (রা.)-এর মৃত্যুর পর নবীজী ﷺ নিজ কন্যা উম্মে কুলসুম (রা.)-কে তাঁর নিকাহে দেন।
এই কারণে তিনি উপাধি পান—
“যুল নুরাইন” অর্থাৎ “দুই নূরের অধিকারী।”
এ সম্মান পৃথিবীর আর কোনো মানুষের ভাগ্যে জোটেনি।
৫️⃣ হিজরতের ঘটনা ও মদিনায় জীবন
🕋 প্রথম হিজরত — হাবাশায়
মক্কায় মুসলমানরা যখন নির্যাতনের শিকার হন, নবীজী ﷺ তাঁদের হাবাশায় (ইথিওপিয়া) হিজরতের অনুমতি দেন।
উসমান (রা.) ও তাঁর স্ত্রী রুকাইয়া (রা.) প্রথম দলে ছিলেন।
এই হিজরতের সময় নবীজী ﷺ বলেন—
“ইবরাহিম (আ.) ও লুত (আ.)-এর পর প্রথমবার উসমান ও তাঁর স্ত্রী আল্লাহর পথে হিজরত করলেন।”
🌙 দ্বিতীয় হিজরত — মদিনায়
পরে মদিনায় নবীজী ﷺ হিজরত করলে উসমান (রা.)-ও সেখানে চলে আসেন।
তিনি নবীজীর নির্দেশে আনসার সাহাবি আউস ইবন সাবিতের সঙ্গে ভাইচারা করেন।
৬️⃣ নবীজীর যুগে ত্যাগ, দান ও অবদান
হযরত উসমান (রা.) ছিলেন দানশীলতার দৃষ্টান্ত। তাঁর সম্পদ তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে বিলিয়ে দিতেন।
💧 রুমা কূপ ক্রয়
মদিনায় মুসলমানদের জন্য পানির অভাব দেখা দিলে এক ইহুদি ব্যক্তি রুমা নামে একটি কূপের পানি বিক্রি করত।
নবীজী ﷺ বলেন—
“যে ব্যক্তি রুমা কূপ ক্রয় করে মুসলমানদের জন্য দান করবে, তার জন্য জান্নাত।”
উসমান (রা.) তা ২০,০০০ দিরহাম মূল্যে ক্রয় করে উকুফ (ওয়াকফ) করে দেন।
🏡 মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ
যখন মসজিদে নববী ছোট হয়ে যায়, নবীজী ﷺ বলেন—
“কে আমার মসজিদ বড় করবে?”
উসমান (রা.) তখন নিজ সম্পদ দিয়ে জমি কিনে মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ করেন।
⚔ তাবুক যুদ্ধের ত্যাগ
তাবুক যুদ্ধের সময় নবীজী ﷺ তহবিল আহ্বান করলে উসমান (রা.) বলেন—
“হে আল্লাহর রাসূল, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দিচ্ছি।”
তিনি ৩০০ উষ্ট্রী, ৫০ ঘোড়া ও ১০,০০০ দিরহাম দান করেন।
নবীজী ﷺ তখন বলেন—
“আজ উসমান যা করল, তার পর আর কোনো কাজ তার ক্ষতি করবে না।”
(তিরমিজি)
৭️⃣ নবীজীর সাথে সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা
হযরত উসমান (রা.) নবীজীর অতি প্রিয় সাহাবি ছিলেন।
তিনি সর্বদা লজ্জাশীল, বিনয়ী ও পরিশুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন।
একবার নবীজী ﷺ বসেছিলেন, তখন আবু বকর ও উমর (রা.) প্রবেশ করলে নবীজী একই ভঙ্গিতে থাকলেন।
কিন্তু উসমান (রা.) প্রবেশ করলে নবীজী সোজা হয়ে বসলেন এবং কাপড় ঠিক করলেন।
সহচররা জিজ্ঞেস করলে নবীজী ﷺ বললেন—
“আমি কি এমন ব্যক্তির সামনে বসব, যার সামনে ফেরেশতারা লজ্জা পায়?”
(মুসলিম)
৮️⃣ নবীজীর ইন্তেকালের পর ও খলিফা নির্বাচনের প্রেক্ষাপট
রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তেকালের পর প্রথম খলিফা হন আবু বকর (রা.), তারপর উমর (রা.)।
উমর (রা.) মৃত্যুশয্যায় ছয়জন বিশিষ্ট সাহাবিকে মনোনীত করেন খলিফা নির্বাচনের জন্য —
আলী (রা.), উসমান (রা.), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা.), তালহা (রা.), যুবাইর (রা.) ও সাদ (রা.)।
পরামর্শ ও বায়আতের পর হযরত উসমান (রা.) তৃতীয় খলিফা নির্বাচিত হন।
৯️⃣ খলিফা উসমান (রা.)-এর শাসনকাল
তাঁর শাসনকাল ছিল ১২ বছর (২৪ হিজরি থেকে ৩৫ হিজরি পর্যন্ত)।
এই সময় ইসলামী সাম্রাজ্য ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে, প্রশাসন শক্তিশালী হয়।
🕌 ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ
তাঁর সময়ে মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে—
-
উত্তর আফ্রিকার তিউনিস, মরক্কো, লিবিয়া পর্যন্ত
-
পূর্বে পারস্য, খোরাসান, আফগানিস্তান পর্যন্ত
-
পশ্চিমে সাইপ্রাস ও আর্মেনিয়া পর্যন্ত
তিনি প্রথম নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন।
মুয়াবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান (রা.)-এর নেতৃত্বে মুসলিম নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে বিজয় লাভ করে।
📜 কুরআনের সংরক্ষণ ও একীকরণ
এটি ছিল তাঁর শাসনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।
তাঁর সময়ে ইসলাম বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন উচ্চারণে কুরআন পাঠ হওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল।
তিনি হযরত যায়েদ ইবন সাবিত (রা.)-এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেন, যারা কুরআনের পাঠ এক মানে সংরক্ষণ করে।
এই কপি “মুসহাফ উসমানি” নামে পরিচিত হয়।
তিনি কয়েকটি প্রতিলিপি তৈরি করে ইসলামি প্রদেশগুলোতে পাঠিয়ে দেন।
আজ আমরা যে কুরআন পাঠ করি, সেটিই উসমানি মুসহাফের কপি।
⚖ প্রশাসন ও ন্যায়নীতি
তিনি তাঁর গভর্নরদের জবাবদিহিতার আওতায় রাখতেন।
প্রতিটি প্রদেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিচারক ও সেনাপতি নিযুক্ত করেন।
তাঁর সময়ে রাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ প্রবাহিত হয়, কিন্তু তিনি নিজে অত্যন্ত সরল জীবনযাপন করতেন।
🔟 দান ও সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ
হযরত উসমান (রা.)-এর উদারতা ছিল তুলনাহীন।
-
মসজিদে নববীর সম্প্রসারণে অর্থ দান
-
গরীব ও অভাবীদের মাসিক সাহায্য
-
রাস্তাঘাট, সেতু ও কূপ নির্মাণ
-
যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির জন্য অর্থ ব্যয়
-
বিধবা ও এতিমদের জন্য খাদ্য ভান্ডার প্রতিষ্ঠা
তিনি বলতেন—
“ধন সম্পদের প্রকৃত মালিক আমি নই; বরং এগুলো আল্লাহর রিজিক, যা তাঁর পথে ব্যয় করার জন্য আমার হাতে দিয়েছেন।”
১১️⃣ ফিতনা, ষড়যন্ত্র ও শহীদ হওয়া
তাঁর শেষ জীবনে কিছু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও বিদ্রোহ শুরু হয়, যা ইতিহাসে “ফিতনা আল-কুবরা” নামে পরিচিত।
ইহুদি ষড়যন্ত্রী আবদুল্লাহ ইবন সাবা বিভিন্ন মুসলমানদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ায়।
মিসর, কুফা ও বসরার কিছু লোক বিভ্রান্ত হয়ে মদিনা অবরোধ করে।
উসমান (রা.) মদিনার খিলাফত গৃহে অবরুদ্ধ থাকেন।
তাঁর কাছে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব এলেও তিনি বলেন—
“আমি মুসলমানদের রক্ত ঝরাতে চাই না।”
অবশেষে, ৩৫ হিজরি (খ্রিষ্টাব্দ ৬৫৬)-তে, ফজরের সময় তাঁকে কুরআন তেলাওয়াতরত অবস্থায় শহীদ করা হয়।
তাঁর রক্ত কুরআনের এই আয়াতে পড়ে—
“আল্লাহ তোমার জন্য যথেষ্ট; তিনি শুনেন ও জানেন।”
(সূরা আল-বাকারাহ: ১৩৭)
তিনি ৮২ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন।
তাঁকে জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
১২️⃣ ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র
🌙 লজ্জাশীলতা
তিনি ছিলেন এমন লজ্জাশীল যে, নবীজী ﷺ বলেছেন—
“ফেরেশতারা উসমানের লজ্জাশীলতাকে লজ্জা পায়।”
(মুসলিম)
💧 বিনয় ও সরলতা
খলিফা হয়েও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন।
নিজ হাতে কাপড় সেলাই করতেন, দাস-দাসীদের সঙ্গে একত্রে খাবার খেতেন।
💰 দানশীলতা
তাঁর দান-অনুদানের কোনো সীমা ছিল না।
তাবুক যুদ্ধ, রুমা কূপ, মসজিদ সম্প্রসারণ — সবকিছুতেই তিনি প্রথম সারির দাতা ছিলেন।
🕋 আল্লাহভীতি
তিনি বলতেন—
“আমি ভয় করি, যদি একটি প্রাণীও ক্ষুধায় মারা যায়, আমি আল্লাহর কাছে দায়ী হব।”
১৩️⃣ উসমান (রা.)-এর বিখ্যাত উক্তি
-
“এই দুনিয়া শুধু আল্লাহর পথে ব্যয় করার জায়গা।”
-
“যে ব্যক্তি দান করে, আল্লাহ তাকে আরও দান করেন।”
-
“আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো— মানুষকে দুঃখ থেকে মুক্ত করা।”
-
“মানুষের আসল সম্পদ হলো তার ঈমান ও আমল।”
-
“যে লজ্জাশীলতা হারায়, সে সবকিছু হারায়।”
১৪️⃣ শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ
১️⃣ ইসলামে লজ্জাশীলতা ও চরিত্রই প্রকৃত সৌন্দর্য।
২️⃣ ধনসম্পদ আল্লাহর নিয়ামত; একে সমাজের কল্যাণে ব্যয় করা কর্তব্য।
৩️⃣ নেতৃত্ব মানে ক্ষমতা নয়, বরং দায়িত্ব ও ত্যাগ।
৪️⃣ দুনিয়ার মর্যাদার চেয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টিই প্রধান লক্ষ্য।
৫️⃣ সহনশীলতা ও ধৈর্য সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে।
৬️⃣ মুসলমানদের ঐক্য রক্ষা করা প্রতিটি নেতার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
৭️⃣ কুরআন সংরক্ষণ ও একীকরণ ইসলাম রক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ।
৮️⃣ অন্যায় প্রতিরোধ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা ছাড়া খলিফা পূর্ণাঙ্গ নয়।
🌺 উপসংহার
হযরত উসমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর জীবন আল্লাহভীতি, বিনয়, দান, ধৈর্য ও লজ্জাশীলতার এক অনুপম দৃষ্টান্ত।
তিনি ছিলেন একাধারে ধনী ও নম্র, ক্ষমতাবান ও বিনয়ী, দাতা ও ইবাদতগোষ্ঠীর আদর্শ মানুষ।
তাঁর জীবন আমাদের শেখায় —
“অর্থের মালিক হও, কিন্তু অর্থের দাস হয়ো না; ক্ষমতার অধিকারী হও, কিন্তু অন্যায় করো না।”
হযরত উসমান (রা.)-এর শাহাদাত মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
তাঁর দান, তাঁর লজ্জাশীলতা, তাঁর কুরআন সংরক্ষণের উদ্যোগ — সবই চিরকাল মুসলমানদের হৃদয়ে অমর থাকবে।
.png)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url